লো প্রেসার কেন হয় ? তা সম্পর্কে আপনার জানা আছে ? যদি না জানা থেকে থাকে তবে আজকের আর্টিকেলের দ্বারা আমরা লো প্রেসার কেন হয় সে সম্পর্কে আলোচনা করবো।
নিম্ন রক্তচাপ, লো প্রেসার, অথবা লো ব্লাড প্রেসার নিয়ে আমরা সকলেই বেশ উদ্বিগ্ন। তবে লো প্রেসার নিয়ে অধিক চিন্তা করার কিছু নেই। কেননা লো প্রেসার হাই প্রেসারের চেয়ে কম ক্ষতিকর এবং এটা কোন দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা না।
অনেকের মনে ভুল ধারণা রয়েছে যে রোগা স্বাস্থ্যের অধিকারীরা নিম্ন রক্তচাপ বা লো প্রেসারে ভুগেন। কিন্তু এটার সত্যটা কতটুকু! লক্ষ করলে দেখবেন মোটা মানুষের দেহেও লো প্রেসার দেখা যায়। সাধারণত সিস্টোলিক রক্তের চাপ ৯০ মিলি। মিটার মার্কারি ও ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ ৬০ মিলি. মিটার মার্কারির নিচে থাকলে তাকে লো প্রেসার বলা হয়।
লো প্রেসারের কারণঃ-
*আপনাদের শরীরে পানির শূর্ন্যতা হলে লো প্রেসার হয়ে থাকে।
*দীর্ঘদিন কোন রোগে আক্রান্ত থাকা।
*শরীরে হরমোন জনিত কোন সমস্যার ফলে লো প্রেসার হয়ে থাকে।
*শরীরে রক্তের শূন্যতা থাকলে।
*খাবার হজমে বাধাপ্রাপ্ত হলে।
লো প্রেসার কেন হয় সে সম্পর্কে নিশ্চয় ধারণা পেলেন।
লো প্রেসারের লক্ষনঃ-
শরীরে লো প্রেসারের ফলে যেসব সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তা হলোঃ- মাথা ঘোরা কিংবা মাথা হালকা অনুভব করা। অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, বসা বা শোয়া অবস্থায় সোজা হয়ে উঠার চেষ্টা করলে শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে পড়ে যাওয়ার পর্যায়ে পৌছানো। চোখে দুর্বলতা অনুভব করা বা মানসিক অবসাদ, কোন কিছুতে মনোযোগ না বসা ইত্যাদি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
চিকিৎসাঃ-
নিম্ন রক্তচাপ বা লো প্রেসারের সুনির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা নেই। শরীরে লো প্রেসারের উপস্থিতি দেখা গেলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হয়। যদি ইলেক্ট্রোলাইট বা পানি শূন্যতার ফলে লো প্রেসার হয় তাহলে পানির সাথে স্যালাইন গুলে খেলেই ঠিক হয়ে যাবে। দীর্ঘদিন যাবত ধরে যাদের লো প্রসার রয়েছে তাদের অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
লো প্রেসার নিয়ন্ত্রণে করণীয়
*লো প্রেসারের রুগিরা দীর্ঘক্ষণ ধরে এক স্থানে শুয়ে বসে থাকবেন না।
*অনেকক্ষণ শুয়ে-বসে থাকার পর হঠাৎই উঠতে যাবেন না। একটু সময় নিয়ে সাবধানে উঠবেন।
*একটু পরপর হালকা খাবার খেতে থাকুন। বেশি সময় ধরে খালি পেটে থাকার ফলে রক্তের চাপ কমে যাওয়ার আশন্কা থাকে।*পর্যাপ্ত পরিমাণে নিয়মিত পানি খান।