ট্রাইগ্লিসারাইড কমানোর উপায়

ট্রাইগ্লিসারাইড কমানোর সহজ ও কার্যকারি উপায় জেনে নিন!

ট্রাইগ্লিসারাইড কমানোর উপায় হয়তো আমরা অনেকেই জানি না। কি এই ট্রাইগ্লিসারাইড এবং কি ভাবে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়? আজকের প্রবন্ধে এসকল বিষয় নিয়েই আমরা আলোচনা করবো।রক্তে কোলেস্টেরল বা চর্বি নিয়ন্ত্রনে আমরা অনেকেই  সচেতন। কিন্তু ট্রাইগ্লিসারাইড  সম্পর্কে  আমরা  অনেকেই  সন্ধিহান। আসুন এই বিষয়ে জানা যাক। 

ট্রাইগ্লিসারাইড  কি:

ট্রাইগ্লিসারাইড হলো এক ধরনের চর্বি।  রক্তে চর্বি বিভিন্ন রূপে উপস্থিত থাকে। সেগুলোর মধ্যে একটির নাম হলো ট্রাইগ্লিসারাইড।  এর সঙ্গে হৃদরোগের কোন সরাসরি সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়নি তবে এটির মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে আপনার হৃদরোগের সমস্যা দেখা দিতে পারে। খাদ্য গ্রহণের ফলে সৃষ্ট  বাড়তি ক্যালরি মানুষের শরীর  ট্রাইগ্লিসারাইডে  রুপান্তরিত করে এবং মেদ কোষে  জমা  রাখে যা পরবর্তী সময়ে  প্রয়োজন  অনুযায়ী ট্রাইগ্লিসারাইড বেরিয়ে আসে এবং শরীরে শক্তির চাহিদা  মেটায় ।

কিন্তু বিভিন্ন কারণে শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইড এর মাত্রা বেড়ে যেতে  পারে। ভাত, চিনি  এবং মিস্টি জাতীয় খাবার  প্রতি আসক্তি, তেল-চর্বি জাতীয় খাবার  গ্রহন, ডায়াবেটিস, কায়িক শ্রমের অভাব, লিভারের  অসুখ, জিনগত  কারণ, ধুমপান, অ্যালকোহল, মানসিক চাপ  প্রভৃতি  কারনে শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইড এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে  থাকে। 

ট্রাইগ্লিসারাইড  কমানোর  খাদ্য তালিকা :

ট্রাইগ্লিসারাইড বা টিজি মুলত  এক ধরনের ফ্যাট। স্থুলতা, ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়া এবং কায়িক পরিশ্রমের কারণে ট্রাইগ্লিসারাইড বেড়ে যেতে পারে। রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড এর মাত্রা বেড়ে গেলে প্যানক্রিয়াটাইটিস, ফ্যাটি লিভার ইত্যাদি হতে পারে। তবে কিছু সচেতনতা আর খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনে খুব সহজে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। এ ক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা সবচেয়ে জরুরি মনে রাখতে হবে  ট্রাইগ্লিসারাইডের  মাত্রা কমাতে খাদ্য  তালিকায় কিছু  খাবারে অভ্যাস গড়ে তুলত হবে যেমন –

  • প্রকৃয়াজাত মাংস এবং ট্রান্স ফ্যাট খাবার বর্জন করতে হবে। 
  • আঁশযুক্ত খাবার যেমন ভুট্টার তৈরি বা যবের তৈরি অটোমিল বা কর্নফ্লেক্স খেতে হবে। 
  • মদ্য পান এবং ধুমপান বর্জন করতে হবে। 
  • সবুজ শাক সবজি  এবং সবুজ পাতা যেমন পুদিনা পাতা এবং ধনে পাতা খেতে হবে।   
  • তাজা মৌমুমী ফল খেতে হবে।
  • প্রোটিন যুক্ত খাবারের চাহিদা মেটাতে মাছ এবং মুরগী সপ্তাহে দুই দিন রাখতে হবে।
  • খাদ্য তালিকায় প্রতি দিন বাদাম খেতে হবে কারণ বাদামে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এ্যাসিড থাকে ফলে ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে সাহায্য করে। 
  • প্রতি দিন মসলা হিসেবে  পেঁয়াজ, আদা,রসুন, এলাচ,দারুচিনি খেতে হবে। 

অতএব, ট্রাইগ্লিসারাইড এর মাত্রা কমাতে  খাদ্য তালিকায় উপরোক্ত খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করবে। উপযুক্ত খাদ্যাভ্যাসই ট্রাইগ্লিসারাইড কমানোর উপায় হিসেবে যুক্তিযুক্ত সমাধান।

আরো পড়ুনঃ ট্রাইগ্লিসারাইড নিয়ে আরো বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন-

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top