মাশরুম চাষের পদ্ধতি

সফল হওয়ার জন্য জেনে নিন সঠিক মাশরুম চাষ পদ্ধতি!

মাশরুম চাষের পদ্ধতি : মাশরুম হলো অত্যন্ত পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও ঔষধি গুণসম্পন্ন খাবার। স্বাদ, পুষ্টি ও ঔষধিগুণের কারণে ইতোমধ্যেই এটির জনপ্রিয়তা  সারা দেশে হয়ে উঠেছে। বর্তমানে আমাদের দেশের বিভিন্ন স্থানে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এই মাশরুম চাষ হচ্ছে। বিশেষ করে শিক্ষিত তরুণদের মধ্যে এই মাশরুম চাষের প্রবনতা টা বেশি দেখা যাচ্ছে।

কিন্তু আবার অনেকেই আছে যারা ঘরে বসেই মাশরুম চাষ করতে চায়। কিন্তু সঠিকভাবে মাশরুম চাষ পদ্ধতি না জানার কারণে তারা করতে পারছে না। 

মাশরুম চাষের পদ্ধতি

ঘরে বসে মাশরুম চাষ করে ইনকাম করতে পারবেন লক্ষ লক্ষ টাকা!

এখন অনেকেই রয়েছেন শিক্ষিত হয়ে ও বাসায় বসে দিন কাটাতে হচ্ছে৷ তাই বাসায় বসে দিন না কাটিয়ে করে ফেলুন মাশরুম চাষ। আরো যারা রয়েছেন করোনা কালে যারা ঘরে বসে দিন কাটাচ্ছেন তারা এটি চাষ করতে পারেন। মাশরুমের বীজ কোথায় পাওয়া যায় জেনে নিন!

মাশরুম চাষ পদ্ধতির কৌশল সমূহ! 

  • চাষ উপযোগী স্থানঃ মাশরুম সাধারণত খোলা জায়গায় চাষ করা যায়। তাই এর জন্য আবাদী জমির প্রয়োজন হয় না। মাশরুম চাষ করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো ছায়াযুক্ত জায়গায় ছন বা বাঁশের চালা দিয়ে ঘর তৈরি করা। মাটির দেওয়াল দিয়েও ঘর তৈরি করা যায়। আবার চাইলে বাঁশের বেড়া দিয়ে ও তৈরি করে নিতে পারবেন। আর লক্ষ্য রাখবেন ঘরের ভেতর যাতে আলো ঢুকতে না পারে সেজন্য বাঁশের বেড়ায় মাটি লেপে দিয়ে দিবেন।
  • বীজ বপনের নিয়মঃ মাশরুম চাষ কেন্দ্র থেকে মাশরুমের বীজ বা স্পন প্যাকেট সংগ্রহ করতে হবে। অবশ্যই বীজ বা স্পনের দুই পাশে কিছুটা গোল করে কেটে চেঁছে নিতে হবে। মাশরুমের প্যাকেটটি পানিতে ৩০ মিনিটের জন্য ডুবিয়ে রাখতে হবে। এবং ৩০ মিনিট পরে পানি থেকে মাশরুমের প্যাকেট উঠিয়ে নিতে হবে। পানি ঝরে গেলে ঘরের নির্ধারিত জায়গায় রেখে দিতে হবে। এইভাবে প্রতিদিন এর উপর তিন থেকে চারবার করে পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।
  • খাওয়ার উপযোগী মাশরুম চাষঃ সঠিক মাশরুম চাষ পদ্ধতি জানলে আপনার তৈরি মাশরুম গুলো খাওয়ার উপযোগী হয়ে উঠবে। খাওয়ার উপযোগী মাশরুম উৎপন্ন হতে ৫ বা ৬ দিন সময় লাগে। খাবার উপযোগী মাশরুম উৎপন্ন হলে তা অবশ্যই গোড়া হতে তুলে নিতে হবে। যে জায়গাটি কাটা হয়েছিল তা ব্লেড দিয়ে একটু চেঁছে দিতে হবে। এই বীজের মধ্য হতে আবারো মাশরুম গজাবে।

মাশরুম আমাদের জন্য কত উপকারী তা জেনে নিন!

মাশরুমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে  প্রোটিন, খনিজ পদার্থ ও ভিটামিন। তাই খাদ্য হিসেবে এটি আমাদের জন্য খুবই পুষ্টিকর। চলুন জেনে নি এর উপকারিতাসমূহ –

  • মাশরুম রক্তে চিনির সমতা রক্ষা করে যার ফলে ডায়াবেটিক রোগী এবং যারা স্থুল বা স্বাস্থ্যবান তাদের জন্য উপযুক্ত এটি খুবই উপকার একটি খাবার।
  • মাশরুম দেহের ক্ষয়পূরণ, হাড় গঠন ও দাঁত মজবুত করে। তাই এটি খাওয়া খুবই জরুরি। 
  •  এটি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

আপনি কি জানেন?কোন মাশরুম গুলো খেলে ক্ষতি হবে না?

আমাদের দেশে রয়েছে অনেক রকমের মাশরুম কিন্তু সব মাশরুম যে খাবার উপযোগী তা কিন্তু নয়৷ 

চলুন জেনে নি আমাদের দেশে খাবার উপযোগী তিন জাতের মাশরুম চাষ পদ্ধতি গুলোঃ 

১। স্ট্র মাশরুমঃ শিমুল তুলা,ধানের খড়,ছোলার বেসন  ইত্যাদি ব্যবহার করে স্ট্র মাশরুম চাষ করা হয়। সাধারণত আমাদের দেশে মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এর চাষ করা যায়।

২। অয়েস্টার মাশরুমঃ এই মাশরুমটি সারাবছরই চাষ করা যায়। তবে শীত ও বর্ষাকালে এর ফলন ভালো হয়। অয়েস্টার মাশরুম খুব সহজেই চাষ করা যায়।

৩। ইয়ার মাশরুমঃ বর্ষাকালে সাধারণত প্রাকৃতিকভাবে আম গাছে ইয়ার মাশরুম পাওয়া যায়। এই মাশরুমটি দেখতে কালচে রঙের হয়ে থাকে। ইয়ার মাশরুম সারাবছর চাষ করা গেলেও সাধারণত বর্ষাকালে এর ফলন ভালো হয়। জেনে নিন মাশরুম চাষ পদ্ধতি সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top