শিং মাছের রোগ ও প্রতিকার – শিং মাছ সাধারণত Aeromonas spp ও Pseudomonas spp. ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়।
মাছ চাষ আমাদের দেশে বেশ লাভজনক একটি পেশা। মাছ চাষে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল মাছের বিভিন্ন ধরণের রোগ। বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে পুকুরে শিং মাছ ব্যাপকহারে চাষ হচ্ছে।
শিং মাছ যেসব রোগে আক্রান্ত হয় সেগুলোর মধ্যে ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ অন্যতম। চলুন জেনে নেওয়া যাক শিং মাছের ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগে করণীয় সম্পর্কে-
শিং মাছের ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগে করণীয়
রোগের লক্ষণসমূহ:
১। ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত মাছ খাদ্য গ্রহণ করতে চায় না।
২। মাছ ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে।
৩। ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত শিং মাছের শ্লেষ্মার অনেকটা কমে যায়।
৪। মাঝে মাঝে ঝাঁকুনি দিয়ে চলাচল করে।
৫। শিং মাছের শরীর সাদাটে রং ধারণ করে।
৬। ২ থেকে ৭ দিনের মধ্যে শিং মাছের মধ্যে এই লক্ষণ গুলো ব্যাপক ভাবে প্রকাশ পায়।
৭। লেজে পঁচন ধরতে শুরু করে।
>> বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ যেভাবে করবেন-বিস্তারিত জেনে নিন!
রোগের প্রতিকার ও নিয়ন্ত্রণ:
১। শিং মাছ ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগে আক্রান্ত হলে পুকুরে প্রতি শতকে ৩০০-৫০০ গ্রাম চুন এবং লবন পানিতে মিশাতে হবে।
২। সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিন, শিং মাছ চাষকৃত্ পুকুরে প্রতি শতক এর ৩ ফুট গভীরতার জন্য ৫-৭ গ্রাম সিপ্রোফ্লোক্সাসিন পানিতে দিতে হবে।
৩। প্রতি কেজি খাবারের সাথে শিং মাছের পুকুরে ১-২ গ্রাম সিপ্রোফ্লোক্সাসিন মিশিয়ে সপ্তাহে ৫-৭ দিন খাওয়াতে হবে।
৪। প্রায়শই পুকুরের পানি পরিবর্তন করতে হবে এবং সঠিক ঘনত্বে শিং মাছ চাষ করতে হবে।
>> মাছের রোগ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন!
উপসংহার
শিং মাছের রোগ ও প্রতিকার সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা থাকলে যেকোনো রোগ থেকে খুব সহজে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব এবং সুস্থ পরিবেশে মাছ চাষ করতে সফল হবেন। মাছ জনিত যেকোনো রোগ দেখা দিলে আতংকিত না হয়ে দ্রুত জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
আশা করছি আমাদের এই আর্টিকেল দ্বারা আপ্নারা উপকৃত হয়েছেন। মাছজনিত কোন রোগ বা এর প্রতিকার সম্পর্কে আপনাদের প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই আমাদের জানাবেন। আমরা সর্বচ্চ চেষ্টা করবো আপনাদের সকল প্রশ্নের সমাধান দিতে।