কোন জাতের কবুতর বেশি বাচ্চা দেয়

জেনে নিন কোন জাতের কবুতর বেশি বাচ্চা দেয়!

কোন জাতের কবুতর বেশি বাচ্চা দেয় : গৃহপালিতপাখির মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে কবুতর। কবুতরকে মানুষ শখের বসেই লালন পালন করে থাকে। তবে বর্তমান সময়ে বাণিজ্যিকভাবে কবুতর পালন করা হয় দেশের বিভিন্ন জায়গায়। কবুতরের মাংস খুবই সুস্বাদু। এর মাংসে প্রোটিনের পরিমাণ অনেক বেশি হয়ে থাকে।

Table of Contents

কোন জাতের কবুতর বেশি বাচ্চা দেয়

কবুতর পালন

অন্যান্য পোল্ট্রি খামারের চেয়ে কবুতর পালনে পুঁজি  কম লাগে, ঝুঁকি কম লাভ বেশি। পৃথিবীতে মোট ১২০ জাতের কবুতর দেখতে পাওয়া যায়, তারমধ্যে বাংলাদেশ ২০ প্রকারের জাত আছে। বর্তমানে কবুতর পালন করে বেকারত্ব দূর, আত্মকর্মসংস্থান ও দারিদ্র বিমোচন করা সম্ভব হচ্ছে। কবুতরে তুলনামূলক রোগ বালাই কম হয়ে থাকে। 

সাধারণত এক জোড়া কবুতর থেকে বছরে ১২ জোড়া বাচ্চা পাওয়া সম্ভব। কবুতর ৪ থেকে ৫  মাস বয়সে ডিম দেওয়া আরম্ভ করে। কবুতরের জীবনকাল ১০ থেকে ১২ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। কবুতরের মাংস এতোই সুস্বাদু যে ছোট বড় সকলের এটি খেতে খুবই পছন্দ করে।

আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক কোন জাতের কবুতর বেশি বাচ্চা দেয়

উন্নত জাতের কিছু কবুতর রয়েছে যে গুলোর স্বাভাবিক ভাবেই  বাচ্চা দেয়ার সক্ষমতা বেশি হয়ে থাকে। যেমনঃ  গিরিবাজ, চন্দন, সিরাজী, গোলা ইত্যাদি। এ জাতের কবুতর গুলি বেশি বাচ্চা দিতে সক্ষম। 

গিরিবাজ কবুতর

গিরিবাজ কবুতর অনেক বেশি বাচ্চা দিয়ে থাকে । এ জাতের কবুতর জন্মগতভাবেই অনেক শক্তিশালী হয়ে থাকে যার কারণে এটা বেশি বেশি বাচ্চা ও ডিম দিতে সক্ষম।  এই কবুতর গুলোর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট হচ্ছে এরা প্রতি ৫০ দিনে দুবার বাচ্চা দিতে সক্ষম। 

কেউ যদি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কবুতর পালন করতে চায় তাদের জন্য পরামর্শ হচ্ছে তারা যেন গিরিবাজ কবুতর দিয়ে শুরু করে। এই কবুতরগুলো লালন পালনে তেমন কোন ঝামেলা নেই, দেশি কবুতরের মতোই এদেরকে পালন করা যায়।

এই জাতের কবুতর বাণিজ্যিকভাবে পালন  করা যায়। এদের ডিম পাড়ার ১৮ দিনের মধ্যেই বাচ্চা ফোটে। এ জাতের এক জোড়া কবুতর থেকে বছরে ১০ থেকে ১২ জোড়া বাচ্চা পাওয়া যায়। বাচ্চাগুলো আবার ৫ থেকে ৬  মাস বয়সে ডিম দিতে শুরু করে। 

এই জাতের কবুতর একটি ডিম পাড়ার পরের দিন না পেড়ে এর পরবর্তী দিন বাকি ডিম পাড়ে। এদের ডিমের গড় ওজন ১৪/১৫ গ্রাম হয়ে থাকে। আর একদিন বয়সের এই জাতের কবুতরের বাচ্চার গড় ওজন ১২/১৩ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। 

গিরিবাজ জাতের কবুতরের ধরণ

ডিম পাড়ার পর স্বাভাবিক ভাবেই মা ও বাবা কবুতর দুজনেই ভাগ করে ডিমে তা দিয়ে থাকে। আবার কখনও কখনও এরা ৩ টি ডিম পর্যন্ত পেড়ে থাকে। যদিও এটা সচরাচর লক্ষ্য করা যায় না, কিন্তু মাঝে মাঝে ব্যতিক্রম হয়ে থাকে। এ জাতের কবুতর ব্যানিজিক ভাবে পালন করে অনেকেই এখন লাভবান হচ্ছে।

গিরিবাজ জাতের কবুতরের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এদের পশম ভারী হয়ে থাকে, যার কারণে এরা অনেক দূর পর্যন্ত উড়ে যেতে সক্ষম। এরা তাদের বাচ্চাকে প্রচুর পরিমাণে খাবার খাইয়ে থাকে যার কারণে তারা দ্রুত বর্ধনশীল হয়। 

সিরাজি কবুতর

বিদেশী জাত  হিসেবে সিরাজি-কবুতর ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে আমাদের দেশে। এদের মাংস খেতে খুবই সুস্বাদু ও মজাদার হয়ে থাকে। এরা খুবই দ্রুত বর্ধনশীল একটা জাত। এরা জাতগত ভাবেই একটু বেশি বাচ্চা দিতে সক্ষম।  

এ জাতের কবুতর গুলো খুবই শক্তিশালী হয়ে থাকে। বাজা্রে এদেরকে খুব চড়া মূল্যে বিক্রি করা হয়। বাজারে সিরাজী জাতের কবুতর ৩০০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়। এ জাতের কবুতরের বাচ্চার দাম ১২০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এ জাতের  কবুতর গুলো প্রতিমাসেই বাচ্চা দিয়ে থাকে। কবুতরের রোগ ও চিকিৎসা জেনে নিন!

পরিশেষে বলতে পারি যে, কোন জাতের কবুতর বেশি বাচ্চা দেয় এ বিষয়ে এতক্ষণে আমরা নিশ্চয়ই খুব ভালভাবে অবগত হয়েছি। 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top