স্বপ্নদোষ বন্ধ করার উপায়

স্বপ্নদোষ বন্ধ করার উপায় কী? জানুন কিছু কার্যকর পদ্ধতি ও ওষুধের নাম

আপনি কী অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ নিয়ে চিন্তিত? তাহলে আজই ঘরে নিয়ে আসুন হামদর্দ এর কিছু অব্যর্থ ঔষধ। স্বপ্নদোষ বন্ধ করার উপায় হিসেবে এগুলো দারুণ কার্যকর। 

এছাড়াও স্বপ্নদোষ বন্ধ করার কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে। ওষুধের পাশাপাশি এগুলি মেনে চললে অচিরেই আপনার অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ বন্ধ হবে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে শুরু করা যাক। 

স্বপ্নদোষ বন্ধ করার উপায় হিসেবে ৩টি অব্যর্থ ঔষধ 

আয়ুর্বেদ ওষুধ জারনাইড, নারভেন্ট ও ইনস্পার্ম স্বপ্নদোষ বন্ধ করতে দারুণ কার্যকর। তবে অবশ্যই এগুলি ডাক্তারের পরামর্শ মেনে খেতে হবে। নীচে ঔষধগুলির বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরা হলো। 

১. জারনাইড (Jernide)

জারনাইড মূলত এক ধরণের সিরাপ যা পুরুষের দূর্বলতা বা অতিসংবেদনশীলতা দূর করে। এতে জলীয় আকারে আছে যষ্টিমধু যা স্বপ্নদোষ দূর করতে অতীব কার্যকর। এছাড়াও এতে কাসকারা সাগ্রাডা, টিংচার লুফাফা পরিমিত পরিমাণে আছে যা আপনার পুরুষাঙ্গের জ্বালাযন্ত্রণা, স্পর্শকাতরতা ও অতিরিক্ত বীর্য নির্গমন রোধ করে৷ 

স্বপ্নদোষ মূলত লসিকা গ্রন্থি, প্রোস্টেট গ্রন্থি, অন্ডকোষ ও শুক্রথলির মধ্যে রক্তসঞ্চালনের ফলে হয়। এমনটা হলে, প্রসাবের জ্বালাপোড়া, পুরুষাঙ্গের স্পর্শকাতরতা ও অনিয়মিতভাবে বীর্য নির্গত হওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। তাই অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হরহামেশাই হতে থাকে। জারনাইড সিরাপ সেই রক্তসঞ্চালন বন্ধ করে, তাই এসকল সমস্যা নিমিষেই দূর হয়ে যায়। স্বপ্নদোষ দূরীকরণে এটি একটি অব্যর্থ ঔষধ। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারেরা স্বপ্নদোষ চিকিৎসায় প্রথমে জারনাইড ওষুধই সেবন করার নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। 

কার্যকারিতা

  • অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ বন্ধ করে
  • শুক্রের তারল্যতা দূর করে
  • অসময়ে বীর্যস্খলন রোধ করে
  • প্রসাবের জ্বালাপোড়া কমায়
  • শয্যায় মূত্রত্যাগ প্রতিরোধ করে

উপাদান (প্রতি ৫ মিলিতে)

যষ্টিমধু ৩০০ মিগ্রা 
কাসকারা সাগ্রাডা ১০০ মিগ্রা 
টিংচার লুফফা ০.১৫ মিলি
অন্যান্য উপাদান পরিমাণমতো 

সেবনবিধি

২ চামচ করে দিনে ২ থেকে ৩ বার। চিকিৎসকের পরামর্শ মতে এই নিয়মের কিছু বদল হতে পারে। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়ায় শ্রেয়। 

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া 

নির্ধারিত মাত্রায় সেবন করলে এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। 

২. নারভেন্ট (Nervent)

নারভেন্ট ওষুধটি মূলত স্নায়বিক শক্তি ও পুরুষাঙ্গের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। মিলনের সময় যৌনাঙ্গের ফাঁপা অংশে পেশির চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে এটি মিলনের সময় দীর্ঘায়িত করে। এছাড়াও এটি ডিম্বকোষের শুক্রথলি, শুক্রবাহী নালি ও সূক্ষ্ম পেশিকে সংকুচিত রাখে ফলে দ্রুত বীর্যস্খলন, স্বপ্নদোষ, অবসাদ ও যৌন দূর্বলতা দূর হয়। 

আপনার ন্যান্য যৌন দূর্বলতা না থাকলেও শুধুমাত্র স্বপ্নদোষ বন্ধ করতে এই ওষুধটি কিনতে পারেন। স্বপ্নদোষ বন্ধ করার পাশাপাশি এটি আপনার যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করবে। এছাড়াও আপনার দীর্ঘমেয়াদি সর্দি থাকলে তা এই ওষুধের মাধ্যমেই দূর হবে। 

কার্যকারিতা 

  • স্নায়বিক দূর্বলতা দূর করে
  • দ্রুত বীর্যস্খলন রোধ করে
  • অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ বন্ধ করে
  • শারীরিক অবসাদ দূর করে
  • দীর্ঘমেয়াদি সর্দি দূর করে 

উপাদান (প্রতি ট্যাবলেটে)

জদওয়ার৬০ মিগ্রা 
খোরাসানী জৈন৩০ মিগ্রা 
আকরকরা ২০ মিগ্রা 
জাফরান ২০ মিগ্রা
লবঙ্গ ২০ মিগ্রা
ছোট এলাচ ২০ মিগ্রা 
দারুচিনি ২০ মিগ্রা 
যত্রিক ২০ মিগ্রা 
জায়ফল ২০ মিগ্রা 
জুন্দবেস্তর২০ মিগ্রা 

সেবনবিধি 

আহারের পূর্বে ১ থেকে ২টা ট্যাবলেট দৈনিক ২ বার সেবন করতে হবে৷ অথবা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য। 

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া 

নির্ধারিত মাত্রায় সেবন করলে এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

৩. ইনস্পার্ম (Insperm)

ইনস্পার্ম মূলত যৌনশক্তি ও শুক্রাণু বৃদ্ধিকারক। পাশাপাশি এটি স্বপ্নদোষ বন্ধ করতেও কার্যকর। এটি এস্পন্দ, যত্রিক, লবঙ্গ প্রভৃতি উপাদান দিয়ে প্রস্তত যা যৌনশক্তি বৃদ্ধিতে দারুণ কার্যকর। স্নায়বিক, শারীরিক, ও যৌন দূর্বলতা দূরীকরণেই মূলত এই ঔষধ ব্যবহৃত হয়।

শুধুমাত্র স্বপ্নদোষ দূরীকরণের জন্য ডাক্তারেরা ইনস্পার্ম সাজেস্ট করেন না। তবে আপনার যদি অন্যান্য যৌন সমস্যা যেমন, বীর্যস্বল্পতা, দ্রুত বীর্যস্খলন, স্নায়বিক বেদনা থেকে থাকে তবে নির্দ্বিধায় এই ঔষধ খেতে পারেন। এছাড়াও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ পেলে শুধুমাত্র স্বপ্নদোষ বন্ধ করতেও এই ঔষধ ব্যবহার করতে পারেন। 

কার্যকারিতা

  • দ্রুত বীর্যস্খলন রোধ করে
  • অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ বন্ধ করে 
  • স্নায়বিক বেদনা প্রতিহত করে
  • স্নায়বিক দূর্বলতা দূর করে 

উপাদান (প্রতি ট্যাবলেটে)

এসপন্দ১০০ মিগ্রা 
জায়ফল১০০ মিগ্রা 
যত্রিক১০০ মিগ্রা 
লবঙ্গ ১০০ মিগ্রা 
দারুচিনি ১০০ মিগ্রা 
কালো তিল১০০ মিগ্রা 

সেবনবিধি 

প্রতিদিন ২টি ট্যাবলেট ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবনযোগ্য 

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া 

ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করলে এই ঔষধের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। 

ঔষধের পাশাপাশি স্বপ্নদোষ বন্ধ করার উপায় হিসেবে যে বিষয়গুলি মেনে চলতে হবে

উপরে উল্লিখিত ঔষধগুলি খাওয়ার পাশাপাশি আপনাকে কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে। এগুলি আপনার ওষুধগকে আরো কার্যকর করে তুলবে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক স্বপ্নদোষ বন্ধ করার উপায় হিসেবে আপনি কী কী ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন

  • প্রসব করে ঘুমাতে যান
  • অতিরিক্ত পানি পান করুন
  • রাতে খাবার পর কিছুক্ষণ হাটাহাটি করুন
  • ঘুমানোর আগে সেক্সুয়াল চিন্তাভাবনা থেকে বিরত থাকুন
  • চিত হয়ে ঘুমানো বন্ধ করুন
  • উপর হয়ে ঘুমানো থেকে বিরত থাকুন
  • দিনে সিদ্ধ ডিম, দুধ, কলা ও কালোজিরা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন 

স্বপ্নদোষ কেন হয়

স্বপ্নদোষ মূলত একটি প্রকৃতিগত শারীরিক প্রক্রিয়া। ছেলে মেয়ে উভয়েরই এটি হতে পারে। তবে স্বপ্নদোষ আসলে কোনো দোষ নয়। এটি নিতান্তই একটি স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়া। 

ছেলেদের স্বপ্নদোষ হলে বীর্যপাত হয় তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে তা হয় না। মেয়েরা কেবল শরীরে এক প্রকার শিহরণ অনুভব করে। তবে যেসব কারণে ছেলে ও মেয়ে উভয়েরই স্বপ্নদোষ হতে পারে সেসব কারণগুলো প্রায় এক। চলুন দেখে নেওয়া যাক কারণগুলো কী কী

  • রাতে ঘুমানোর সময় যৌনাঙ্গে রক্ত সঞ্চালন বেশি হয়। এছাড়াও কৈশোরে টেস্টোটেরন হরমোন বেশি থাকে। ফলে কৈশোরে যৌনাঙ্গে অতিরিক্ত রক্ত প্রবাহের জন্যে স্বপ্নদোষের মাধ্যমে অতিরিক্ত বীর্য শরীর থেকে বের হয়ে আসে। 
  • কোনোরকম সেক্সুয়াল এক্টিভিটি ছাড়া যৌনতা ও পর্নোগ্রাফি নিয়ে চিন্তা করলে স্বপ্নদোষ হতে পারে। এছাড়াও ঘুমানোর সময় বিছানার সাথে যৌনাঙ্গের ঘষা লেগে লিঙ্গত্থান হয়ে স্বপ্নদোষ হবার সম্ভাবনা থাকে। 
  • রাতে ঘুমানোর সময় যদি ইউরিনারি ব্লাডার পরিপূর্ণ থাকে তাহলে স্বপ্নদোষ হতে পারে। তাই রাতে ঘুমাতে যাবার আগে প্রসাব করে ঘুমানোই শ্রেয়। এছাড়াও আপনি যদি এমন কোনো ঔষধ সেবন করেন যা টেস্টোটেরন হরমোন বৃদ্ধি করে সেক্ষেত্রে নিয়মিত স্বপ্নদোষ হতে পারে। 
  • যৌনাঙ্গের দূর্বল স্নায়ু ও পেশির কারণেও স্বপ্নদোষ হতে পারে। তবে এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হবার কিছু নেই। 

সর্বোপরি, স্বপ্নদোষ একটি অতি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তাই এটি নিয়ে আশংকা করা অনর্থক। 

অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হলে কী সমস্যা হয়?

স্বপ্নদোষ মূলত কোনো সমস্যা নয়, তবে এটি অতিরিক্ত হলে কিছু সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যদি কোনো পুরুষের লিঙ্গের স্নায়ু ও পেশি দূর্বল থাকে সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হতে পারে। পুরুষাঙ্গের স্নায়ু ও পেশি দূর্বল হতে পারে অতিরিক্ত হস্তমৈথুন, ও বিভিন্ন হরমোনাল সমস্যার কারণে। 

অতিরিক্ত স্বপ্নদোষের ফলে অনিদ্রা, কোমর ব্যথা, শারীরিক দূর্বলতা, হাঁটু ব্যথা, ধকল, ঝিমুনি ইত্যাদি উপস্বর্গ দেখা দিতে পারে। তাই এসকল সমস্যা থেকে রেহাই পেতে উপরিউক্ত ঔষধগুলি ডাক্তারের পরামর্শ মেনে খেতে পারেন।

স্বপ্নদোষ কী কোনো রোগ?

আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ড. সঞ্জিব কুমার সিং এর মতে, স্বপ্নদোষ পুরুষের একটি রোগ হলেও অতি সাধারণ একটি রোগ। আবার অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, এটি সাধারণত কোনো রোগ না যতক্ষণ পর্যন্ত এটি প্রাকৃতিক কারণে সম্পন্ন হচ্ছে। আবার কিছু কিছু চিকিৎসক একে মানসিক রোগ হিসেবেও অভিহিত করেছেন। 

তবে সর্বোপরি বলা যায়, স্বপ্নদোষ যদি স্বাভাবিকভাবে হয়ে থাকে তাহলে এটি কোনো রোগ না৷ কিন্তু অতিরিক্ত হলে একে একটি রোগ হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। 

স্বপ্নদোষ থেকে বাঁচার দোয়া

সূরা তারিকের ১ নম্বর আয়াত থেকে ১০ নম্বর আয়াত পর্যন্ত অংশটুকু স্বপ্নদোষ থেকে বাঁচার দোয়া হিসেবে বিবেচিত হয়। এক্ষেত্রে ঘুমানোর আগে অযু করে এই অংশটুকু পড়ে ঘুমাতে হবে। নির্দিষ্ট অংশটুকু সবিস্তারে তুলে দেওয়া হলো:

সূরা আত-তারিকের প্রথম ১০ আয়াত:

وَٱلسَّمَآءِ وَٱلطَّارِقِ

وَمَآ أَدْرَىٰكَ مَا ٱلطَّارِقُ

ٱلنَّجْمُ ٱلثَّاقِبُ

إِن كُلُّ نَفْسٍ لَّمَّا عَلَيْهَا حَافِظٌ

فَلْيَنظُرِ ٱلْإِنسَٰنُ مِمَّ خُلِقَ

خُلِقَ مِن مَّآءٍ دَافِقٍ

يَخْرُجُ مِنۢ بَيْنِ ٱلصُّلْبِ وَٱلتَّرَآئِبِ

إِنَّهُۥ عَلَىٰ رَجْعِهِۦ لَقَادِرٌ

يَوْمَ تُبْلَى ٱلسَّرَآئِرُ

فَمَا لَهُۥ مِن قُوَّةٍ وَلَا نَاصِرٍ 

বাংলা অনুবাদ

১) ওয়াছ ছামাই ওয়াততা-রিক। 

২) ওয়ামাআদরা-কা মাত্তা-রিক। 

৩) আন্নাজমুছছা-কিব। 

৪) ইন কুল্লুনাফছিল লাম্মা-‘আলাইহা-হা-ফিজ। 

৫) ফালইয়ানযুরিল ইনছা-নুমিম্মা খুলিক। 

৬) খুলিকা মিম্মাইন দা-ফিকি। 

৭) ইয়াখরুজুমিম বাইনিসসুলবি ওয়াত্তারাইব। 

৮) ইন্নাহূ‘আলা-রাজ‘ইহী লাকা-দির। 

৯) ইয়াওমা তুবলাছ ছারাইর। 

১০) ফামা-লাহূমিন কুওওয়াতিওঁ ওয়ালা-না-সির। 

অর্থ:

১) শপথ আকাশের এবং রাত্রিতে আগমনকারীর।

২) আপনি জানেন, যে রাত্রিতে আসে সেটা কি?

৩) সেটা এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।

৪) প্রত্যেকের উপর একজন তত্ত্বাবধায়ক রয়েছে।

৫) অতএব, মানুষের দেখা উচিত কি বস্তু থেকে সে সৃজিত হয়েছে।

৬) সে সৃজিত হয়েছে সবেগে স্খলিত পানি থেকে।

৭) এটা নির্গত হয় মেরুদন্ড ও বক্ষপাজরের মধ্য থেকে।

৮) নিশ্চয় তিনি তাকে ফিরিয়ে নিতে সক্ষম।

৯) যেদিন গোপন বিষয়াদি পরীক্ষিত হবে,

১০) সেদিন তার কোন শক্তি থাকবে না এবং সাহায্যকারীও থাকবে না।

পরিশেষ 

উপরিউক্ত আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, স্বপ্নদোষ মূলত কোনো দোষ নয়। এটি একটি স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় কার্যক্রম। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে স্বপ্নদোষ হলে তা বন্ধ করা আবশ্যক।

তাই স্বপ্নদোষ বন্ধ করার উপায় হিসেবে উপরিল্লিখিত ঔষধগুলি ডাক্তারের পরামর্শ মেনে খেতে পারেন। কম খরচে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে ভিজিট করুন www.healthDsports.com

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top